
দীর্ঘ চার বছর ভারতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলেছেন রবি শাস্ত্রী। অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের লজ্জাজনক বিদায়ের পর প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার বদলে ভারতীয় দলের দায়িত্ব এখন রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে। রবি শাস্ত্রির জামানায় যে একাধিক ক্রিকেটার নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সেটি ক্রিকেটপ্রেমীরাও প্রত্যক্ষ করেছেন। যেন ভারতীয় দলের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপন করেছিলেন রবি শাস্ত্রী। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকার পরেও স্নেহধন্য হতে না পারায় একাধিক ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বসিয়েছেন তিনি। রবি শাস্ত্রী জামানা শেষ হতেই এবার মুখ খুললেন ভারতের সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন।
তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অংশ হিসেবে নিজেকে মনে হতো না আমার। দল থেকে যেন দিনের পর দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছিলাম আমি। একাধিক ম্যাচ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমাকে। আমি ধারাবাহিক ফর্মে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। অভিযোগ হিসেবে যা বিস্ফোরক নয়, মারাত্মক। যিনি সাফ বলে দিয়েছেন যে, ২০১৮ থেকে ২০২০– এই সময়বৃত্তে ভেবেছিলেন, ক্রিকেটটাই ছেড়ে দেবেন! “অনেক বার ভেবেছি যে ছেড়ে দিই। শুধু চোটের কারণে নয়। আসলে আমার চোট নিয়ে কারও মধ্যে কোনও সহমর্মিতা দেখিনি।
উল্লেখ্য, রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলির জামানায় রবীচন্দ্রন অশ্বিন শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বাকি দুই ফরম্যাট থেকে যেনো হঠাৎই ছেঁটে ফেলা হয়েছিল তাকে। টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ দিলেও ধারাবাহিকভাবে খেলার সুযোগ মেলেনি কখনো। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোক কিংবা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বসিয়ে রেখেছিল রবি শাস্ত্রী। তখন বল এবং ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে বলের সাথে সাথে ব্যাট হাতে একাধিক লম্বা ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের।
কোহলি শাস্ত্রী জামানার সমাপ্তি। টেস্ট ক্রিকেটের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেটে ফিরেছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। রাহুল দ্রাবিড়ের হাত ধরে নিজের অভিজ্ঞতা ঢেলে দিচ্ছেন দলের জন্য। ইতিমধ্যে টেস্ট ক্রিকেটের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে হরভজন সিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছে রবীচন্দ্রন অশ্বিন।
