টেন্ডুলকার কে নিয়ে যুবরাজ কী বললেন শুনুন

শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বের অগুনতি ক্রিকেটারদের স্বপ্নের নায়ক তিনি। তবে শৈশবের নায়কের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা, একসঙ্গে খেলার সুযোগ যদি কেউ পেয়ে যায়; এর চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অল-রাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের ভাগ্যে এমন ঘটনা ঘটেছিল। শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলীরা তখন ভারতীয় দলকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন একটা সময়ে জাতীয় দলে তাদের সতীর্থ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন যুবরাজ সিং।
অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০০০ সালে আইসিসি নকআউট ট্রফিতে জাতীয় দলে অভিষেক হয় যুবরাজের। শচীনের সঙ্গে প্রথম দেখার স্মৃতি নিয়ে যুবরাজ বলেছেন, “বলে বোঝাতে পারব না, শৈশবের নায়কের সঙ্গে দেখা হওয়ার অনুভূতিটা ঠিক কেমন ছিল। খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলাম। ক্যাম্প শুরুর আগেই ড্রেসিংরুমে গিয়েছিলাম। শুধু একটা আসনই খালি ছিল, সেটা টেন্ডুলকারের পাশে। ম্যানেজারকে ডেকে বললাম, ওখানে বসতে পারব না। তিনি বললেন, না, সে (টেন্ডুলকার) তোমার সতীর্থ হতে যাচ্ছে। তার সঙ্গে কথা বলো। ধীরে ধীরে পাশে গিয়ে তার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম “এটা সত্যিই টেন্ডুলকার!”
সেই প্রথম দেখার সময় যুবরাজের ক্রিকেট খেলার সরঞ্জামের ব্যাগে টেন্ডুলকারের একটি ছবি লাগানো ছিল। নিজের ছবি দেখে টেন্ডুলকার বেশ মজা পেয়েছিলেন। যুবরাজের ভাষায়, ‘আমার কিট ব্যাগ খোলার পর তার একটা ছবি বেরিয়ে আসে। তিনি ছবিটা দেখে বললেন, “সুন্দর ছবি! ব্যাটসম্যানটা কে?” এরপর তিনি হেসে ফেললেন। আমাকে সহজ করতে এরপর সম্ভবত বেশি কিছুক্ষণ আলাপ করেছিলেন আমার সঙ্গে। ওই সময় নিজেকে হঠাৎ করেই শৈশবের আদর্শদের সঙ্গে আবিষ্কার করি। টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, সৌরভ, কুম্বলে, শ্রীনাথ—সব বড় বড় নাম। মনে হচ্ছিল “আমি কোথায় এসে পড়লাম!”
এরপর শচীনের সঙ্গে হাত মেলানোর সেই ঘটনা শোনান যুবরাজ। স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার পর আনন্দে আত্মহারা যুবরাজ চান করতে চাননি। যদি কিংবদন্তির স্পর্শ মুছে যায়! যুবরাজ এই প্রসঙ্গে বলেছেন,”আমি ক্লাসে ছিলাম পেছনের বেঞ্চের ছাত্র। টিম বাসেও পেছনে বসতাম। তিনি (টেন্ডুলকার) এসে জহির খান, বিজয় দাহিয়া ও আমার সঙ্গে হাত মেলালেন, তারপর ঘুরে নিজের আসনে গিয়ে বসলেন। ওই মুহূর্তে আমি নিজের হাতটা সারা শরীরে মেখেছি। আমি চানও করতে চাইনি; কারণ, টেন্ডুলকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলাম!”