
গতকাল দিল্লির বিরুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর সরাসরি অঙ্কের হিসাবে প্লে-অফে পৌঁছানো কলকাতার জন্য কার্যত অনিশ্চিত রাস্তা। তবে জটিল অংকের বিচারে কলকাতার প্লে-অফে পৌঁছানোর চান্স মাত্র ৩ শতাংশ। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৬টি তে পরাজয়ের গ্লানি গায়ে মেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বর্তমানে ছয় পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের কলকাতা। ফলশ্রুতিতে চলতি আইপিএলে তৃতীয় দল হিসেবে বাড়ি ফেরার টিকিট কার্যত কনফর্ম করেছে নাইট শিবির।
আইপিএলের গ্রুপ পর্যায়ে প্লে-অফের অর্ধেকের বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্লে অফের দৃশ্যটা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হতে শুরু করেছে সাধারণ সমীকরণে। সেই মর্মে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে পৌঁছাতে পারে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্স। ৮ ম্যাচ খেলে ৭ ম্যাচে জয়লাভ করেছে গুজরাট টাইটান্স। চলতি আইপিএলে বড় রকম দুর্ঘটনা না ঘটলে শতভাগ প্লে-অফে পৌঁছাতে চলেছে গুজরাট টাইটান্স।
পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা রাজস্থানের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮৩ শতাংশ। চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাজস্থান রয়্যালস ৮ ম্যাচ ৬টিতে জিতে ১২ পয়েন্ট অর্জন করেছে। অন্যদিকে, চলতি আইপিএলে আরেকটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ-ও ৮ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতেছে। ৩টিতে হেরেছে। বর্তমানে তাদের সংগ্রহে রয়েছে ১০ পয়েন্ট। তাদের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫৮ শতাংশ। একই সংখ্যক ম্যাচে ১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সানরাইজ হায়দরাবাদও। তবে বিগত ম্যাচে গুজরাটের কাছে পরাজিত হয়ে তাদের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা দাঁড়িয়েছে ৫৮ শতাংশে।
তাছাড়া সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর। যদিও বাকিদের তুলনায় একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে ব্যাঙ্গালোর। এমনকি রান রেটে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তারা। চলতি আইপিএলে প্লে-অফে পৌঁছানোর হিসেবে তাদের সুযোগ রয়েছে ৪২ শতাংশ। গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করে প্লে-অফের দৌড়ে ফিরেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখলে প্লে-অফে পৌঁছানো সম্ভব দিল্লির। এই হিসেবে তাদের হাতে সুযোগ রয়েছে ২৩ শতাংশ। অঘটন না ঘটলে ১০০% প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, চেন্নাই সুপার কিংস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
