ফের সুপার ওভারে জ্বলে উঠলেন রাবাদা, লড়াই করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না মায়ঙ্ক

আই পি এল এর দ্বিতীয় ম্যাচেই সুপার ওভারের স্বাদ পেয়ে গেল ক্রিকেট প্রেমীরা। রুদ্ধশাস ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারালো দিল্লি ব্রিগেড। ম্যাচের প্রথমে অবশ্য দারুন বল করে দিল্লি ক্যাপিটেলসের মেরুদন্ড ভেঙে দেন বাংলার তারকা মোহাম্মদ শামি। চার ওভার বল করে মাত্র পনেরো রান দিয়ে তুলে নেন পৃথ্বী সাউ, সেমরন হেটমায়ার এবং শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। শেষে মার্কাস স্টয়নিস এসে 21 বলে 53 রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক 157 রানে পৌঁছে দেন। এই লক্ষ তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাব শুরুটা ভালো করলেও ছন্দপতন ঘটে।
একসময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ তাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে। সেইখান থেকে একা লড়াই করে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান মায়ঙ্ক আগারওয়াল। তিনি 60 বলে 89 রান করেন। কিন্তু পর পর দুই বলে দুটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে আসেন নিকোলাস পুরান এবং অধিনায়ক কে এল রাহুল। রাহুল মাত্র দু রান করে আউট হন এবং তার পরের বলে রাবাডার বিষাক্ত ইয়রকার সামলাতে ব্যার্থ হন নিকোলাস পুরান। মাত্র দু রানে পাঞ্জাবের ইনিংস শেষ করে দেন রাবাডা। ম্যাক্সওয়েলকে নন স্ট্রাইক এন্ড থেকেই ফেরত যেতে হয়। খুব সহজেই তিন রানের লক্ষে পৌঁছে যায় দিল্লি।
তবে মায়ঙ্ক আগারওয়ালকে সুপার ওভারে ব্যাটিং করতে না পাঠানো সবাইকে অবাক করেছে।এর আগে আমরা গত মরসুমে আমরা দেখেছিলাম কিভাবে চূড়ান্ত ফর্মে থাকা আন্দ্রে রাসেলকে বোল্ড করেছিলেন সুপার ওভারে। ধীরে ধীরে সুপার ওভার বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই জোরে বোলার। তবে একটি বিতর্কও উঠে আসছে এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে। 18.3 ওভারে একটি দুই রান নেন মায়ঙ্ক, কিন্তু রান নেবার সময় নন স্ট্রাইক এন্ডে থাকা ক্রিস জর্ডানের ব্যাট লাইন স্পর্শ করেনি বলে এক রান কম দেন থার্ড আম্পায়ার। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বীরেন্দ্র সহবাগ তো টুইট করে বসেন যে ‘ থার্ড আম্পায়ার কে ম্যান অফ দা ম্যাচ পুরস্কার দেওয়া উচিৎ।’ যার ফলে বিতর্ক আরো বেড়ে যায়।