নাটকীয়ভাবে জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটালস, সুপার ওভাব্রে হারল পাঞ্জাব

ক্রিকেটপ্রেমীরা কোনভাবেই আশা করেননি যে আইপিএল এর ১৩ তম সংস্করণ এর দ্বিতীয় ম্যাচেই একটি সুপার ওভার দেখতে পাবেন বলে। সুপার ওভার মানেই আলাদা একটা রোমাঞ্চ আলাদা একটা চিত্তাকর্ষক অনুভূতির জন্ম দেয়। যদিও এই সুপার ওভার টি শেষ হলো একদম একপেশে ভাবেই। দিল্লি ক্যাপিটালস খুব সহজ ভাবেই সুপার ওভারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব কে পরাজিত করে নতুন মরশুম জয় দিয়েই শুরু করলো। প্রথমে ব্যাট করে ঋষভ পন্ত এর ৩১, শ্রেয়াস আইয়ার এর ৩৯ এবং মার্কোস স্টোইনিস এর ২১ বলে ৫৩ রানের দুরন্ত ইনিংসের সুবাদে সর্বসাকুল্যে ১৫৭ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস।
১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির মতোই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবও। ১০ ওভার শেষে তাদের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৫ উইকেট এর বিনিময়ে ৫৫ রান। অপরপ্রান্তে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ে থাকলেও এক প্রান্ত একা কুম্ভের মতো আগলে থাকেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। কিন্তু দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারলেন না তিনি। ৬০ বলে ৮৯ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলে “গ্ল্যামার শট” খেলে দলকে জেতানোর প্রলোভনে আউট হয়ে বসেন তিনি। সেই মূহূর্তে দলের স্কোর লেভেল এবং হাতে রয়েছে আর মাত্র একটি বল। পরের বলে ক্রিস জর্ডন আউট হয়ে যেতেই ম্যাচ গড়াই সুপার ওভারে।
পাঞ্জাব ম্যানেজমেন্টের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সুপার ওভারে হারতে হয় তাদের। ইন ফর্ম ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগারওয়াল কে সুপার ওভার ব্যাট করতে না পাঠিয়ে আছেন কে এল রাহুল এবং নিকোলাস পুরান। দুর্দান্ত বোলিং করে মাত্র দু রান দিয়েই রাহুল এবং পুরান দুজনকেই আউট করেন কাগিসো রাবাদা। এর ফলে ম্যাচটি জিতার জন্য দিল্লির প্রয়োজন হয় মাত্র ৩ রানের। পাঞ্জাবের হয়ে বল করেন মোহাম্মদ সামি এবং দিল্লির হয়ে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পন্ত। প্রথম বল করার পর দ্বিতীয় বল ওয়াইড করে বসেন মহম্মদ শামি। তৃতীয় বলটি থার্ড ম্যান অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দুটি রান সংগ্রহ করে নেন এবং এর সাথে সাথেই জয়ে সিলমোহর দিয়ে দেন।